আসসালামু আলাইকুম, সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন।  আজকে আমি কথা বলব হৃদপিন্ডে বা হার্ট এ ছিদ্র কিংবা ফুটো নিয়ে।

গ্রীন লাইফ হার্ট সেন্টারে কাজ করার সুবাদে আমি লক্ষ্য করেছি যে বর্তমানে বাংলাদেশে হার্ট কিংবা হৃদপিন্ডে ছিদ্র রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে আজকে আমি এই বিষয়ে কথা বলব।
Atrial septal defect/ Ventricular septal defect, যাদের অপর নাম হার্টে ছিদ্র রোগীদের ভাষায়।

এই সমস্যাগুলো মূলত হার্টের নিলয় কিংবা সেপটাম কিংবা অন্য চেম্বার এ হতে পারে। এই রোগটি শিশুকাল বয়স থেকেই দেখা দেয় অনেকক্ষেত্রে বাবা-মা রোগটি ধরতে পারে না,মনে করে এটি স্বাভাবিক।কিন্তু পরীক্ষা করার পরে কিংবা ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার রোগীকে দেখে বুঝতে পারে এবং বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য কিছু পরীক্ষা দেয়।

বর্তমান সময়ে শিশুদের পাশাপাশি এই রোগটি 17 থেকে 25 তদুর্ধ 30 পর্যন্ত বয়সের রোগী দেখা দেয়।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই রোগের একটাই চিকিৎসা সেটি হচ্ছে অপারেশন করে হার্টের ছিদ্র বন্ধ করা।

হার্টে ছিদ্র থাকলে রোগীর যে সমস্যাগুলো হবে সেগুলো নিম্নরূপ:

১.রোগী যখন খেলাধুলা করবে, খানিকটা দৌড়াবে, সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠবে,তখন তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিবে এবং এটি বাড়তে থাকবে বিশ্রাম নিলে অবশ্যই ধীরে ধীরে কমে যাবে।

২.রোগীর বুক ধড়ফড় করবে যা প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।

৩. কায়িক পরিশ্রম করলে রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাবে।

৪. রোগীর দুর্বল হয়ে যাবে।

রোগটি পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করার পদ্ধতি:

১. বুকের এক্সরে করিয়ে (হার্ট এর আকার বড় দেখাবে)

২. ইকোকার্ডিওগ্রাম কালার ডপলার

৩. ইসিজি

৪.এম আর আই

চিকিৎসা:

চিকিৎসা অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর রিপোর্টের উপর নির্ভর করে কিংবা হার্টের ছিদ্র এর আকার এর উপর নির্ভর করে

১. হার্টের ছিদ্র যদি ছোট হয় সে ক্ষেত্রে ওষুধ দিয়ে কিংবা অপেক্ষা করে দেখা হয় এবং পরবর্তীতে পরীক্ষা করে দেখা হয় যে ছিদ্রটি মিলে গেছে কিনা।

২. ছিদ্রটি যদি মধ্য থেকে আকারে বড় হয় সে ক্ষেত্রে এটি বুকের মাঝখানে পাজরের হাড় কেটে অপারেশন করা হয়।এর কোনো বিকল্প নেই।

অনেকে মনে করে থাকে এ অপারেশন না করলেই ভালো,আপনাআপনি ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু এটি আপনার নিকট জনের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

Aeehythmia হয়ে রোগী মারা যেতে পারে,এছাড়াও আরো অনেক সমস্যা হবে।

এরকম কোনো সমস্যা কারো দেখলে আমাকে মেইল করতে পারেন, ataud.91@gmail.com।
আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো সাহায্য করার জন্যে।
আজকে এ পর্যন্তই,সবাইকে অগ্রিম ঈদ মোবারক।

ডা: মো: আতাউদ জাহান

কার্ডিয়াক সার্জারি এবং আই.সি.ইউ. মেডিকেল অফিসার

গ্রীন লাইফ হার্ট সেন্টার, গ্রীন লাইফ মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল, ঢাকা

এমবিবিএস (ডি ইউ )
পিজিটি (মেডিসিন,ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল)
সিসিডি (বারডেম)
ডি.ও.সি(স্কিন & ভিডি)